যদি ঘুরে আসতে চান কুষ্টিয়া থেকেঃ


কিভাবে যাবেনঃ- ঢাকার গাবতলি বাস টার্মিনাল শুক্রাবাদ , কমলাপুর থেকে বাস এর মাধ্যমে কুষ্টিয়া যাওয়া যায়। এই শহরের মোট আয়তন ১,৫৬৭ বর্গ কিলোমিটার। ঢাকা থেকে কুষ্টিয়ার দুরুত্ব ২৭৭কি:মিঃ।

কোথায় থাকবেনঃ- ঢাকা থেকে বাসে চড়ে প্রায় ৭ ঘন্টার পথ পাড়ি দিয়ে কুষ্টিয়া শহরে নামবেন। কুষ্টিয়া শহরে মধ্যমানের বহু আবাসিক হোটেল রয়েছে। সেখানে আপনি অবস্থান করতে পারেন। 


রবীন্দ্রনাথের কুঠি বাড়িঃ- কুষ্টিয়া শহর থেকে বেশ কয়েক কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে গড়াই নদী পার হয়ে কুমারখালির বিখ্যাত শিলাইদহ। বিশ্বের প্রায় সব ভাষার জনগণ এর সাথে কম বেশি পরিচিত। একেবারে ছোটবেলা থেকে রবীন্দ্রনাথ এখানে বহুবার এসেছেন থেকেছেন। কখনো বা কার্যোপলক্ষে, কখনো বেড়াতে। তাই কুষ্টিয়ার সাথে তার সম্পর্ক অত্যন- নিবিড়। কুষ্টিয়ার কুঠি বাড়িতে বসে তিনি বহু বিখ্যাত কবিতা রচনা করেছেন। জমিদারী দেখার ফাঁকে ফাঁকে তিনি গ্রাম বাংলার সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবন যাপন খুব কাছ থেকে দেখেছেন, যা তার অনেক লেখাতেই চোখে পড়ে। রবীন্দ্রনাথের স্মৃতিধন্য বাড়ীগুলো বেশ সুন্দর, ব্যবহৃত জিনিসগুলো বেশ গুছানো, পরিপাটি। দেখে আপনারও ভাল লাগবে। পুরো জায়গাটি বেশ পরিস্কার। ঘুরতে ঘুরতে ক্লান- হয়ে পড়লে বসতে পারেন পুকুর পাড়ের বাঁধানো ঘাটে। এখানে বেশ কিছু প্রাচীন গাছ দেখতে পাবেন, যেগুলোকে মনে হবে সময়ের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।


লালন আখড়া


কুষ্টিয়া শহরের একপ্রানে- অবসি’ত মরমি সাধক বাউল শ্রেষ্ঠ লালন শাহের সমাধি প্রাঙ্গন। একে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে লালন আখড়া। আপনি এখানে দর্শণীর মাধ্যমে যতক্ষন ইচ্ছে উপভোগ করতে পারবেন লালনের শীর্ষ্যদের গাওয়া লালন গীতি। এখানে অনেক প্রাচীন গাছ দেখতে পাবেন যদিও সরকার লালন কমপ্লেক্স করার জন্য কিছু গাছ কেটে ফেলেছিল। তবুও আপনি ঘুরে ঘুরে এখনো কিছু গাছ দেখতে পাবেন। এখানে আসলে আলাদা এক অনুভূতি জাগে।

বিবিধঃ- কুঠিবাড়ি ও লালন আখড়া দেখা শেষ করে আপনি যেতে পারেন গড়াই নদীর বাঁধ দেখতে। প্রম্মত্তা গড়াই নদীর ভাঙ্গন থেকে রক্ষা করার জন্য তৈরি হয়েছে এ বাঁধ। সাতার জানলে নৌকা করে ঘুরতে পারেন নদীতে। এছাড়াও এই শহরে আরো রয়েছে বস্ত্রশিল্পের বিখ্যাত মোহিনী মিল। মনে রাখবেন! প্রতিটি স্থানে যাবার পূর্বে কিছু হালকা খাবার, পানীয় এবং সঙ্গে থাকা ক্যামেরা নিতে ভুলবেন না। মাত্র একদিনের ভ্রমণে সর্বসাকুল্যে মাথাপিছু খরচ পড়বে ১০০০-১৫০০ টাকার মত। কিন্তু’ বিনিময়ে আপনি পাচ্ছেন প্রচুর মূল্যবান তথ্য ও বিনোদন। যার ফলে সারা জীবনের জন্য সঞ্চয় হবে কিছু চমৎকার স্মৃতি।